প্রজন্ম ডেস্ক
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে শ্রমিকলীগ ও তাঁতীলীগের দুই নেতার হাতে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন নারী ইউপি সদস্য ও উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেত্রী নাজমা আক্তার রূপবান (৩০)।
বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় জাকির হোসেন পাটওয়ারী ও আরমান হোসেন নামের ওই দুই নেতাকে আসামী করে রায়পুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ওই ইউপি সদস্য।
নারী ইউপি সদস্য এখন রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত নারী হলেন চরপাতা ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য ও উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার রূপবান (৩০)।
অভিযুক্তরা হলেন পৌর আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা শ্রমিকলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন পাটওয়ারী (৪৭) এবং রায়পুর উপজেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কমিটির সদস্য রায়পুর পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক আরমান হোসেন (৪৩)।
মামলার এজাহার, পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্তের সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে জাকির ও আরমান ইউপি সদস্য নাজমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রায়পুর শহরের প্রধান সড়কের একটি ফলের দোকানের সামনে দিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন নাজমা। ওই সময় তাকে ঝাপটে ধরে ফলের দোকানের ভিতরে নিয়ে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করা হয়। নাজমার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ইউপি সদস্য নাজমা আক্তার রূপবান জানান, এই দুই নেশাখোর দীর্ঘদিন থেকেই আমাকে উত্যক্ত করে আসছিল। আমি আমার ইজ্জত নষ্টকারীদের উপযুক্ত বিচার চাই। দলীয় নেতা হলেও তাদের কোনো ছাড় নেই।
অভিযোগের বিষয়ে জাকির হোসেন পাটওয়ারী ও আরমান হোসেন জানান, নাজমাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ সঠিক নয়। দলীয় নেত্রী হওয়ায় আমরা দু’জন প্রায়ই তার সাথে হাসি-মস্করা করি। ওই রাতে প্রধান সড়ক দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় মোবাইলে অন্যলোককে গালমন্দ করতে থাকায় আমরা তাকে থামিয়ে বকাঝকা করি। ফলের দোকানে নিয়ে তাকে শাসন করা হয়েছে। দলীয় কোন্দলে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে।
রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ তোতা মিয়া জানান, ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে। অন্যায়কারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।