প্রজন্ম ডেস্ক
‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পুলিশ যখন জনবান্ধব পুলিশিংয়ে ব্যস্ত, ঠিক সেই সময় বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে বাংলাদেশেও প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সরকার করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউন ঘোষণা করায় গরিব, দুস্থ ও অসহায় মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
বিষয়টি অনুধাবন করে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম নিজ উদ্যোগে ‘মানুষ মানুষের জন্য, পুলিশ জনগণের বন্ধু, সেবাই পুলিশের ধর্ম’ এই ব্রত সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গা জেলার তৃণমূল অসহায় গরিব দুঃখীদের মাঝে ২৯ মার্চ থেকে ধারাবাহিকভাবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের কর্মসূচি গ্রহণ করেন। এই কর্মসূচিতে পুলিশ সুপার ‘খাদ্য যাবে বাড়ি’ নামে একটি ইউনিক পদ্ধতি চালু করেন।
যে পদ্ধতিতে খাদ্য সামগ্রী পেতে আগ্রহীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হেল্প ডেস্কে এসে নাম, ঠিকানা ও মোবাইল এন্ট্রি করে গেলে বা পুলিশ সুপারের ফোনে নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর এসএমএস করলে অথবা ফেসবুকে ইনবক্স করলে রাতের আঁধারে তাদের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ। এছাড়াও কোনো অসহায় ব্যক্তি বা লকডাউনে থাকা পরিবার পুলিশ সুপারকে ফোন করে জানালে তৎক্ষণাৎ তাদের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার পর্যন্ত পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম কর্মবঞ্চিত, গরিব ও দুস্থ ৫ হাজার ১২৬টি পরিবারের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিভিন্ন সময় পৌঁছে দিয়েছেন। এছাড়াও আরও ৫০০০ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার কার্যক্রম অব্যহত আছে।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, দেশের ও দেশের মানুষের প্রতি নিজের দায়িত্ববোধ থেকেই তিনি কাজটি করে চলেছেন। এ সময় তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল বিত্তবানদেরকে গরিব, দুস্থদেরকে সাহায্য করার আহ্বান জানান এবং সকলকে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে অনুরোধ করেন।