প্রজন্ম ডেস্ক
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে পোশাক খাতসহ শ্রমঘন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের ঈদুল আজহার ছুটি পর্যায়ক্রমে দিতে শিল্পমালিকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমি করোনার বিস্তার রোধে তৈরি পোশাক শিল্পসহ অন্যান্য শ্রমঘন শিল্পের শ্রমিকদের ঈদের ছুটি পর্যায়ক্রমে দিতে বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে মালিকগণ বরাবরের মতো এবারও সহমর্মিতার নজির স্থাপন করবেন বলে আমার বিশ্বাস।’
ঈদুল আজহায় কোরাবানির পশুর হাট করোনা সংক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শুরু থেকেই এ বিষয়ে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করে পশুর হাটের অনুমতি দিতে আমি সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন না করলে ঈদের আনন্দ বিষাদে রূপ নিতে পারে।’
ঈদুল আজহার তিন দিন আগে থেকে সড়ক-মহাসড়কে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি ও রপ্তানিমুখী পণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জাম, ত্রাণ, জ্বালানি, ওষুধ, খাদ্যদ্রব্য, পচনশীল পণ্যসহ জরুরি সেবার গাড়ি চলবে। ঈদের আগে-পরে আট দিন সড়ক-মহাসড়ক সংলগ্ন সিএনজি স্টেশনগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে জ্বালানি বিভাগকে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘কোরবানির পশুবাহী যানবাহন সাধারণত ধীর গতিতে চলে। এসব পরিবহন মহাসড়কে নষ্ট হলে তৈরি হয় যানজট। তাই ফিটনেসবিহীন যানবাহনে কোরবানির পশু পরিবহন থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
সড়ক-মহাসড়কের ওপরে কিংবা পাশে পশুর হাট বসানো যাবে না, উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রয়োজনে এ বছর কম সংখ্যক হাট বসানোর বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে অনলাইনে পশু বেচাকেনার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় অনুভূতির পাশাপাশি কোরবানির ঈদ-কেন্দ্রিক অর্থনীতির সঙ্গে অসংখ্য মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। সেজন্য অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। তা না হলে ভয়ঙ্কর ঝুঁকিতে পড়ব আমরা।’