প্রজন্ম ডেস্ক
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্কুল শিক্ষক মুজিবুর রহমান ও তার ভাই মিজানুর রহমান হত্যা মামলায় অভিযুক্ত চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে কমল হোসেন মালিথা, ফকিরাবাদ গ্রামের কাবুল প্রামাণিকের ছেলে কামরুল প্রামাণিক ও সুমন প্রামাণিক ও একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নয়ন শেখ।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের ছের আলী শেখের ছেলে নজরুল শেখ ও আব্দুর রহিম ওরফে লালিম শেখ, একই গ্রামের আকুল মণ্ডলের ছেলে মাহফুজুর রহমান, বেনজির প্রামাণিকের ছেলে হৃদয় আলী, নাজির প্রামাণিকের ছেলে সম্রাট আলী প্রামাণিক, গোলাপনগর গ্রামের মৃত নুরুল হক মালিথার ছেলে জিয়ারুল ইসলাম ও আশরাফ মালিথা। এছাড়াও এই মামলায় আরিফ মালিথা নামে এক আসামিকে ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্তকে আরো ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল বাদী জাহারুল ইসলামের ভাতিজা আশরাফুজ্জামান রতনের ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় আসামিরা যোগসাজশে হামলা করে স্কুল শিক্ষক মুজিবর রহমানকে ঘটনাস্থলে হত্যা করে এবং তার ভাই মিজানুর রহমানকে জখম করে রক্তাক্ত করে। এরপর মিজানুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এই ঘটনায় নিহত স্কুল শিক্ষক মুজিবর রহমানের ছেলে জাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের করেন। ভেড়ামারা থানা পুলিশ ২০১৭ সালের ৯ মে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি (নারী ও শিশু) অ্যাড. আব্দুল হালিম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উক্ত হত্যা মামলায় অভিযুক্ত চার আসামিকে পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড পেনাল কোডের ৩০২/১১৪ ধারায় সাতজনকে যাবজ্জীবন ও পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবার।